০৯। হজের প্রাথমিক জরুরী দু’আ সমূহ ঃ-

০৯। হজের প্রাথমিক জরুরী দু’আ সমূহ ঃ- ০১। বাসা থেকে বের হওয়ার/ সফরের দুআ- বিসমিল্লাহি তাওক্বালতু আলাল্লাহি, লা হাওলা অ লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহি। আল্লাহু আকবার ৩বার , সুবহানাল্লাযি সাখ্খারা লানা হাযা, ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বীনা লামুনক¦ালিবু‘ন। ০২। যদি প্রথমে মক্কা শরীফ গমন করেন তাহলে- ২.১। দুই রাকাত তাহিয়্ইয়াতুল ইহরাম নামাজ পড়ার পড়-উমরার নিয়্যত ঃ ক) লাব্বাইকা উমরাতান বা খ) আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা, ফাইয়ার্ছ্ছিহা লি, ওয়া তাকাব্Ÿালহা মিন্নি। নিয়্যতের পর কমপক্ষে ৩ (তিন) বার তালবিয়া পাঠ করুন। (নারী-পুরুষ সকলে) ২.২। দুই রাকাত তাহিয়্ইয়াতুল ইহরাম নামাজ পড়ার পর-হজের নিয়্যত ঃ ক) লাব্বাইকা হাজ্জান খ) আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল হাজ্জা, ফাইয়ার্ছ্ছিহু লি, ওয়া তাকাব্Ÿালহু মিন্নি। নিয়্যতের পর কমপক্ষে ৩ (তিন) বার তালবিয়া পাঠ করুন। (নারী-পুরুষ সকলে) ০৩। উমরা বা হজের নিয়্যত করে ইহরাম বাধার পর- বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্আলুকা রিদওয়ানাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আগুজুবি রহমাতিকা মিনান্না’র। ০৪। হজ বা উমরার নিয়্যত করার পর কম পক্ষে তিনবার এই ফজিলতপূর্ন (মূল) দু’আ বা তালবিয়া পাঠ করবেন- বাংলা উচ্চারণঃ লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্Ÿাইক, লাব্Ÿাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্ মুল্ক, লা’শারীকা লাক। এই তালবিয়া হজের বা উমরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’আ, যে যত বেশী পারি পড়তে থাকি, মহিলাগন নিন্মস্বরে বা আওয়াজে আর পুরুষগন উচ্চ স্বরে বা জোরে জোরে। আপনি বা আপনারা এখন মুহরিম অবস্থায় আছেন অধীর আগ্রহে পবিত্র নগরী মক্কা বা সোনার মদিনায় যাওয়া বা পৌছার ক্ষণ গুনছেন। (নারী-পুরুষ সকলে) ০৫। পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশের পর এই দু’আটি পড়তে পারেন- বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা হাযা হারামুকা ওয়া আম্নুকা ফার্হারিম্নি আলান্না’র, আমিন্নি মিন্ আজাবিকা ইয়াওমা তাব’আছু ইবাদাক্ ওয়াজ্আলনি মিন্ আউলি’আকা ওয়া আহলে ত্ব’আতিক্। ০৬। মসজিদে প্রবেশের দু’আ- ০৭। পবিত্র কাবা ঘর নজরে আসার সাথে সাথে পড়–ন- আরবি দিতে হবে বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা যিদ বাইতাকা হাযা তাশরীফান্ ওয়া তা’জীমান্, ওয়া তাকরীমান্, ওয়া বিররান্,ওয়া মাহাবাতান্,আল্লাহুম্মা আন্তাস্ সালাম, ওয়া মিনকাস্ সালাম, ফাহায়ইনা রাব্বানা বিস্সালাম্। ০৮। দুই হাত উচু করে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে এই বলে তাওয়াফ শুরু করুন দু’আ- বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্। ০৯। তাওয়াফ করার সময় কিছু দু’আ (সম্ভব হলে পড়তে পারেন)- ক) বাংলা উচ্চারণঃ সুব্হানাল্লাহ্ আল্হামদুলিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লা’হু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আজীম, আছলাতু আসসালমু আলা রাসুলিল্লাহি । খ) হাজরে আসওয়াদে পৌছার পূর্বে রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দু’আ পড়তে পারেন-- বাংলা উচ্চারণ -রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাহ ওয়াফিল্ আখিরাতি হাসানাহ ওয়াকিনা আযাবান্না’র। ১০। মাকামে ইব্রাহিমে দু’রাকাত নামাজ আদায় করার পূর্বে কুরআনের এই আয়াতটি পড়তে পারেন- বাংলা উচ্চারণঃ ওয়াত্তাখাযু মিম্ মাকামে ইব্রাহিমা মুছাল্লা । তাওয়াফ শেষে এর আশে-পাশে দুই রাকাত নামাজ পড়বেন-প্রথম রাকাতে সুরায়ে ক¦াফিরুন দ্বিতীয় রাকাতে সুরায়ে ইখলাছ এই দুটি সুরা দিয়ে নামাজ পড়া সুন্নাত (সম্ভব হলে আমলটি করতে পারেন)। জানা না থাকলে যে কোন সুরা দিয়ে নামাজ আদায় করলেও হবে। দুই রাকাত নামাজ পড়া ওয়াজিব। ১১। নামাজ শেষে পরিতৃপ্ত সহকারে যমযমের পানি পান করুন। যমযমের পানি পান করার দু’আ- বাংলা উচ্চারণ ঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্আলুকা ইল্মান্ নাফিআন্, ওয়া রিয্কান্ ওয়াসিআন্, ওয়া শিফা’আন্ মিন কুল্লি দা’ইন্। এবার সাফা-মারওয়া পাহাড়ের দিকে রওয়ানা করুন- ১২। সাফা মারওয়াতে সাঈ (দৌড়) শুরু করার দু’আ- আব্দাউ বিমা বাদাআল্লাহু বিহি। তারপর পাঠ করুন-ক) বাংলা উচ্চারণঃ ইন্নাছ্ছাফা’ ওয়াল্ র্মাওয়াতা মিন্ শাআ’ইরাল্লাহি ফামান হাজ্জাল বায়তা আবিয়তামারা ফালা জুনাহা আলাইহি আয়ইয়াত্তাওফা বিহিমা, অ-মান তাতাওয়াআ খায়রান ফা ইন্নাল্লাহা শাকিরুন আলীম। খ) বাংলা উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল্ মুল্কু,ওয়া লাহুল্ হামদু , ওয়া হুয়া আলা’ কুল্লি শায়ইন্ ক¦াদির, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু আন্জাযা ও’য়াদাহু, ওয়া নাসারা আব্দাহু, ওয়া হাযামাল্ আহ্যাবা ওয়াহ্দাহু। গ) সবুজ বাতির নীচে জোর কদমে চলুন ও পড়ুন- বাংলা উচ্চারণ -রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাহ ওয়াফিল্ আখিরাতি হাসানাহ ওয়াকিনা আযাবান্না’র। রাব্বিগফির অরহাম অ-ফু অ-তার্কারাম, অ-তাজাওয়াজ আম্মা তা লাম, ইন্নাকাল আনতাল আ-আজ্জুল আকরাম, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলকা আলহুদা, অ-ত্তুকা, অল আফাফা, অল গেনা, আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা অশুকরিকা, অ হুসনে ইবাদাতিক । সাবধান! তাওয়াফ ও সাঈ করার পর মাথা মুন্ডানো বা ছাটানো ছাড়া ইহরামের কাপড় গাঁ থেকে খুলবেন না। মাথার চুল ছোট করা বা মুন্ডানো ব্যতিত ইহরাম খুলে ফেললে ধম দিতে হবে। ইহরামের কাপড় খোলার পর সাবান দিয়ে ভালো করে অজু গোসল করে নিন। আপনি এখন হালাল-মানে আপনার উমরার যাবতীয় কাজ শেষ। আলহাম্দুলিল্লা’হ।