০৭। ক) প্রয়োজনীয় মাসআলা কার কাছে জানবেন

০৭। হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা কার কাছে জানবেন- ক) কোন দ্বীনি মাসায়ালা জানতে হলে আহলুল ইলমের কাছে জানতে হবে অর্থাৎ যারা কুরআন ও হাদিছের বিশেষজ্ঞ আলেম তাদের কাছ থেকে জানতে হবে। যেমন আল্লাহ পাক বলেন- ফাসআলু আহলায্যিক্রি ইনকুনতুম লা তা’লামুন।) অর্থ- অতএব তোমরা জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করো , যদি তোমাদের জানা না থাকে। সুরা নাহলের ৪৩ নং আয়াত খ) সফরে ছালাত বা নামাজ কিভাবে আদায় করবেন ? ক) মহান আল্লাহ পাক ফরমান- সুরা নিসা-১০১ আয়াত নং যখন তোমরা ভ-ুপৃষ্ঠে সফর করবে তখন নামাজে কছর করলে তোমাদের উপর কোন দোষ হবে না। খ) আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল(সা.) মদিনাতে যুহরের নামাজ চার রাকাত আদায় করেছেন এবং যুল-হুলাইফাতে আছরের নামাজ দু’রাকাত আদায় করেছেন। (বুখারী ১৫৪৭, মুসলিম-৬৯০) গ) ইমাম বুখারী (রা.) তিনি তার সহীহুল বুখারীতে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন এই ভাবে - মুকীম অবস্থায় নামাজ এবং সফর অবস্থায় নামাজ। তিনি এই অধ্যায়ে কছরের পক্ষে অনেক হাদিছ তুলে ধরেছেন। গ) জুবায়ের ইবনে নুফায়ের (রা.) থেকে বর্ণিত - তিনি বলেন, আমি শুরাহবীল ইবনে সামেতের সাথে ১৭ মাইল বা ১৮ মাইলের মাথায় একটি গ্রামের দিকে সফরে বের হলাম। অতপর তিনি (৪ রাকাতের স্থলে ) দু’রাকাত নামাজ পড়লেন। আমি তাকে (এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম) তিনি (উত্তরে) বললেন,আমি ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) কে দেখেছি যে, তিনি যুল-হুলাইফাতে দু’রাকাত নামাজ পড়লেন। আমিও তাকে (তার কারণ) জিজ্ঞাসা করলাম, তারপর তিনি (উত্তরে) বললেন, নিঃসন্দেহে আমি তা-ই করেছি যেমনটি রাসুল(সা.) করেছেন বা করতে দেখেছি। সুতরাং আমি নতুন কিছু করিনি। (মুসলিম-৬৯২,আহমাদ, নাসায়ী ১৪৩৭, বায়হাকী) আপনি কিভাবে নামাজ আদায় করবেন ? মক্কা শরীফ বা মদিনা শরীফ রওয়ানা হওয়ার পর বিমান বন্দর থেকে বা যারা বিভিন্ন জেলা থেকে সফর শুরু করবেন তারা নিজ নিজ মুয়াল্লিমের কাছ থেকে ৪ রাকাত নামাজে ২ রাকাত পড়া শুরু করে দিবেন। সফরের এটি আল্লাহ প্রদত্ত বড় একটি নেয়ামত। এই সফর অবস্থায় নামাজ জমা করতে চাইলে জমাও করতে পারবেন। আল্লাহর রাসুল(সা.) সফর অবস্থায় নামাজ কছর করেছেন ও জমা করেছেন।(জমা অর্থ হলো- যুহুর আছর এক সাথে যুহুরের সময়ে আদায় করা ও কছর করা, মাগরিব এশা, এশার নামাজের সময়ে এক সাথে পড়া ও কছর করা) পানির সংকট থাকলে বা বিমানে তায়াম্মুম করেও ছালাত আদায় করতে পারবেন। মক্কা শরীফ ঃ আপনার অবস্থান যদি মক্কায় ১৫দিনের কম হয় তাহলে একা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কছর করে নামাজ আদায় করবেন। জামাতে পড়লে পুরো নামাজ আদায় করতে হবে ইমামের ইকতেদার কারনে। আর যদি ১৫ দিনের বেশি থাকার নিয়্যত করেন তাহলে পুরো নামাজ আদায় করতে হবে। মদিনা শরীফ ঃ ৭/৮ দিন থাকলে একা জামাত ছাড়া নামাজ আদায় করলে কছর করে নামাজ আদায় করতে হবে। জামাতে পড়লে পুরো নামাজ আদায় করতে হবে।