০৬। হজের প্যাকেজ নির্ধারন করা

০৬। হজের প্যাকেজ নির্ধারন করা - ক) জেনে শুনে বুঝে হজের প্যাকেজ নির্ধারণ করুন- সরকার হজ প্যাকেজ ঘোষনা করতে অনেক চিন্তা-ফিকির করে, যাতে হাজীদের কষ্ট না হয়। সরকারী প্যাকেজ রেটের ব্যাপারে খোজ খবর নিবেন, জানবেন। প্যাকেজ যাচাই বাচাইয়ের ক্ষেত্রে বা প্যাকেজের সুযোগ-সুবিধাদী জানতে সরাসরি এজেন্সীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করুন। প্যাকেজ নির্ধারনের ক্ষেত্রে আমরা সচারাচর কম মূল্যের প্যাকেজকে পছন্দ করি। বা কম মূল্যে সুযোগ-সুবিধা বেশী পেতে চাই। কম তেলে মচমচে ভাজা। কম খুজতে খুজতে কি যে বিপদের মধ্যে পতিত হই বা ধরা খায় মিডিয়া ম্যান বা গ্রæপ লিডারদের হাতে তা সকলেরই জানা। সাবধান! তখন যা হবার তা-ই হয় । অনেক দূরে রাখে, থাকার বাসা ভালো না, খাবার দেয় না, এজেন্সী খবর নেয় না। হজ ঠিকমতো করতে পারেননা বা হজের হুকুম আহকাম জানে না বা সাথে আলেম নাই। এজেন্সীই বা আপনার খবর নেবে কি করে আপনিতো এজেন্সী থেকে(সরাসরি) হজে আসেননি বা এজেন্সীর মালিকের সাথে হজের সুযোগ-সুবিধার কথা আলাপ করেননি। আপনি হজে এসেছেন গ্রæপ লিডার এর মাধ্যমে। প্রথমবার উমরা করার সময় কাবা শরীফ দেখেছেন, আর খবর নাই। যেমন গুড় তেমন মিষ্টি। অন্যান্য এজেন্সীর মালিক বা সরকার বাহাদুর সরকারী প্যাকেজ মূল্যে হাজী হজ করাতে তারা হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সরকারী রেটের চেয়েও অনেক কম মূল্যে হাজী সংগ্রহ করে, কি সেবাটা তারা আপনাকে দিবে? তাই সদা এজেন্সীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন বা করার চেষ্টা করুন। খ) প্যাকেজের সুযোগ-সুবিধা ও করনীয় - হাজী সাহেব-আপনাদের জন্য আমাদের পরামর্শ হলো- ০১) একটু ভালো মূল্যের প্যাকেজে হজে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। হজের খরচ জীবনের সর্বোত্তম খরচ,জীবনে যা খরচ করেছেন এর মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ খরচ, তাই মন খুলে উদার হস্তে হজের ব্যয় করার চেষ্ঠা করুন। দুনিয়ার জীবনের জন্য, নিজের ছেলে মেয়ের জন্য, অনেক কিছু করেছেন তা আপনার কাজে নাও লাগতে পারে তাই হজের খরচে সেদিকটি বিবেচনায় রাখুন। আপনি বেশি টাকার প্যাকেজে হজে গেলে এজেন্সী বা সরকারের কোন লাভ নাই, লাভ আপনার নিজেরই এক টাকার বিনিময়ে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ের ছাওয়াব আপনার আমলনামায় লিখা হবে। ০২) তিনটি ক্যাটাগরির হজ প্যাকেজ সরকার ঘোষনা করেন-ভালো প্যাকেজ কোনটা, কোন প্যাকেজে কি সুযোগ-সুবিধা, বাসা মক্কায় হারাম সীমানা থেকে কতটুকু দূরে ইত্যাদি খোজ খবর নেয়া বা জেনে রাখা। ০৩) মক্কায় এক বাসায় রাখবে নাকি, দুই বাসায় রাখবে, ফিতরা বা শিফটিং, নাকি নন-শিফটিং বা স্থায়ী বাসা, ০৪) সৌদি বিমান, না বাংলা বিমান, মদিনায় কত দিন রাখবেন, মদিনায় হজের আগে, না হজের পরে। ০৫) খাবার ক‘বেলা দিবেন ইত্যাদি সব আলোচনা করে প্যাকেজ নির্ধারন করে বা বুকিং দিন। এক রুমে কত জন করে হাজী রাখবেন, কয়জনের জন্য একটি বাথ বা এটাস্ট বাথ নাকি কমন বাথ ইত্যাদি। ০৬) কম মূল্যের প্যাকেজে বেশী সুযোগ সুবিধার আশ্বাসে প্রলুব্ধ হবেন না। এটি প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ০৭) প্যাকেজের মেয়াদ বা কত দিনের জন্য হজে যাচ্ছেন সে দিকটিও আলোচনা সেরে নিতে পারেন, যদি প্রয়োজন মনে করেন।