০৩। সর্ব প্রথম এজেন্সী নির্বাচন করা

০৩। সর্ব প্রথম এজেন্সী নির্বাচন করা ঃ বা কোন এজেন্সীতে থেকে হজে যাবেন? প্রথমত ঃ সরকারী বা বেসরকারী-খোজ-খবর নেয়া- ভালো হজ এজেন্সী বেছে নেয়ার জন্যে যা যা করা প্রয়োজন তা আপনাকে করতে হবে। যেমনঃ- আপনার আশে-পাশে দালাল বা গ্রæপ লিডার ছাড়া সরাসরি এজেন্সীর মাধ্যমে হজ করেছেন এমন হাজী সাহেবদের থেকে খোজ-খবর নেয়া। কি খোজ-খবর নিবেন- ক) এজেন্সীর মালিক আলেম কিনা বা আলেম দ্বারা হজ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন কিনা। খ) হজের আগে হজের মাসআলা, দুআ ইত্যাদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন কিনা। গ) মিনা আরাফাতে হজের সময়, সাথে কোন গাউড ছিলো কিনা। ঘ) কুরবানী কিভাবে দিয়েছেন ব্যাংকের মাধ্যমে নাকি এজেন্সীর মালিককে টাকা দিয়েছেন, তিনি কুরবানী করে দিবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। ঙ) যে এজেন্সীর সাথে হজ করেছেন কথা কাজে মিল পেয়েছেন কিনা ইত্যাদি সর্ম্পকে ভালো করে জেনে বুঝে আপনার চেষ্টা সবটুকু শেষ করে এবার আল্লাহর উপর ভরসা করুন। দ্বিতীয়ত ঃ দালাল বা মধ্যস্বত্যভোগী বা গ্রুপ লিডার থেকে বহু দূরে থাকুন। তারা যেদিক দিয়ে হাটে সেদিকে ভুলেও তাকাবেন না। তাদের লোভনীয় অফারে বা ফাদে পা দিবেন না। সাবধান ! সাবধান! যেখানে হজের এজেন্সীর মালিকগন কম মূল্যের প্যাকেজে বা কম দামে আপনাকে হজে নিয়ে যেতে সাহস করে না, সেখানে তারা এজেন্সীর মালিকদের চেয়ে কম মূল্যে বেশী সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রæতি দেয়া বা হজ করানো প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। সাবধান! তৃতীয়ত ঃ আপনি নিজে হজ করতে যাবেন এই আমলের ছাওয়াবের বিনিময়ে জান্নাত লাভে ধন্য হবেন বা জান্নাতের উপযোক্ততা অর্জন করবেন। মাবরুর হজের (যে হজ কবুল হয় তার) প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়। আপনি কি কখনো ভেবেছেন আপনি কতো বড় ফজিলত পূর্ণ আমলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? আপনি নিজ চোখে খানায়ে কাবা দেখবেন, রাসুল (সা.) যে পথে হেটেছেন,সে পথের পথিক আপনি। আপনার আমল যাতে গ্রহনযোগ্য হয় সে চেষ্টা করতে হবে, আপনাকেই। তাই একজন পরহেজগার মুত্তাকি আলেমের সাথে হজে গমনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। সফরে একজন আলেমের সাথী হতে যা যা করা প্রয়োজন আপনি তা তা করতে সংকোচ করবেন না বা আপোষ করবেন না। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন। আমিন।