১২. হজ এজেন্সীর করনীয় ঃ-

১২. হজ এজেন্সীর করনীয় ঃ- বাংলা উচ্চারণ ঃ কুল্লুকুম রাইন, অ কুল্লুকু মাছউলিন আন রা-ইয়আতিহি । অর্থ ঃ তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, স্বীয় দায়িত্বের ব্যাপারে (আমরা সকলে) জিজ্ঞাসিত হবো। বাংলাদেশ সরকার দুটি বা তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষনা করে। সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে এজেন্সীগুলো চলতে বাধ্য। তাই এজেন্সীর নিন্মের কাজ গুলো দায়িত্ব নিয়ে বাস্তবায়ন করা উচিত। ০১। বাংলাদেশ সরকারের হজ নীতি সর্ম্পকে সুস্পষ্ট ধারনা রাখা জরুরী এবং সৌদি সরকারের নিয়ম-নীতি জানা থাকা ও বাস্তবায়ন করতে হলে কি কি করতে হবে তা আমলে নিয়ে কাজ করা। ০২। হজ সর্ম্পকে শরীয়তের বিধি বিধানাবলীর সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা এবং কী কী কারনে হজ বাতিল হয়ে যায় সে সর্ম্পকে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী এবং ফরজ। যে ব্যক্তি হজের মাসআলা মাসাইল জানে না তার কর্তৃক হজের কাজ করা হারাম বা জায়েজ নাই। ০৩। কোনক্রমেই সরকার ঘোষিত প্যাকেজ রেটের কম মূল্যে হাজী সংগ্রহ না করা। ০৪। মিথ্যা আশ্বাস বা প্রলোভন না দেখানো, লৌকিকতার উর্ধ্বে উঠে হাজীর খেদমতের জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি করা। প্রস্তুত করা যাতে হাজীদের প্রতি খেদমত দেয়া যায় খালেছ ভাবে। ০৫। একই গ্রæপের হাজীর কাছ থেকে মূল্যের তারতম্য করা বা কারো কাছে কিছু বেশী টাকা নেয়া আবার কারো কাছে কিছু টাকা কম নেয়া। ০৬। মক্কায় শিফটিং করবেন নাকি স্থায়ী বাসা/নন শিফটিং, প্রথমে শিফটিং নাকি শেষে শিফটিং , মদিনায় হজের আগে নিবেন নাকি হজের পরে মদিনায় নিবেন। (শিফটিং মানে ফেতরা)। নাকি মক্কায় স্থায়ী বাসায় রাখবেন এ সব বিষয়ে হাজীদেরকে অবহিত করা। ০৭। মক্কা ও মদিনা শরীফের হারাম সীমানা থেকে বাসার দূরুত্ব কতটুকু বা কত মিটার বা কত মাইল হবে তা আগে থেকেই হজ যাত্রীকে জানানো। ০৮। এক রুমে কত জন থাকবেন বা কয়জনে মিলে একটি টয়লেট ব্যবহার করবেন বা টয়লেট কি এটাস্ট না কমন ইত্যাদি হাজী সাহেবদেরকে জানিয়ে দিবেন। ০৯। মদিনা শরীফে ৮দিন বা ৪০ ওয়াক্ত নামাজ পড়াতে পারবেন নাকি, পারবেন না। ১০। খাবার আপনার প্যাকেজের অর্ন্তভুক্ত, নাকি আলাদা পেমেন্ট করতে হবে। প্যাকেজে খাবারের আয়োজন থাকলে দৈনিক কয় বেলা খানা দিবেন। দুপুরে কি কি দিবেন, রাতে কি কি দিবেন, বলে দিন। বিশেষ ভাবে নাস্তা দিলে কোন ধরনের নাস্তা দিবেন তা আগে থেকে বলে দিবেন। ১১। হাজী ক্যারিয়ার করবেন কোন বিমানে- বাংলাদেশ বিমান / সৌদি বিমান তা বলে দিবেন। ইত্যাদি যা যা সুযোগ সুবিধা দিবেন আগে তাদেরকে বলে দেয়া উচিত। ১২। হজ যাত্রীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, কিভাবে হজ করবেন, কি কি করতে পারবেন, কি কি পাবেন ও কি কি খাবেন ইত্যাদি। ১৩। যদি কোন এজেন্সী কোন গ্রæপ লিডার থেকে হাজী হজ করানোর জন্য দায়িত্ব নিয়ে থাকেন, আপনি গ্রæপ লিডারকে কি কি সুযোগ-সুবিধা বলে হাজী নিলেন, সম্ভব হলে হাজী সাহেবদেরকে অবহিত করুন। তা না হলে এজেন্সীর বিরুদ্ধে হাজী সাহেবগণ কমপ্লিন করলে লাইসেন্স এর উপর জরিমানা আরোপ হবে।