১১. হজ যাত্রীর বর্জনীয় ঃ-

১১. হজ যাত্রীর বর্জনীয় ঃ-কখনো করবেন না, করার চেষ্টাও করবেন না। হজকে হজে মাবরুর করতে হলে, হজকে সাবলীল করতে হলে, হজকে রাসুলের সুন্নাত মোতাবেক আদায় করতে হলে, হজকে স্বরনীয় বরনীয় গ্রহনীয় করতে হলে, হজ আদায়ের ছাওয়াব দিয়ে আল্লাহর জান্নাতের আশা করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নিন্ম বর্ণিত কাজগুলো বর্জন করতে হবে। যে বিষয়গুলো পরিত্যাগ করা জরুরী- ০১। হাজী সাহেব নিজে অপরজনের প্রতি ভালবসার বন্ধন তৈরির মাধ্যমে ঝগড়া, অপরাধ প্রবণতা, মন্দ বাক্য বিনিময় ইত্যাদি থেকে নিজেকে সমপূর্ণ বিরত রাখা,পবিত্র থাকা জরুরী। ০২। মসজিদে হারামে মহিলাদের পাশে বা মহিলাদের পিছনে নামাজের জন্য না দাড়ানোর চেষ্টা করা। মহিলাগণও কোন পুরষের সামনে দাড়াবেন না, মসজিদে হারামে মহিলাদের নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে নামাজ পড়ুন। ০৩। মসজিদে হারামে হাজীদের চলাচলের রাস্তায় বা কোন গেটে নামাজের জন্য দাড়াবেন না, যাতে হাজী বাধ্য হয়ে আপনার নামাজে সামনে দিয়ে পথ চলতে হয়। ০৪। পবিত্র কাবা’র আশে পাশে বা খুব কাছে বসা , নামাজ পড়া, মাকামে ইব্রাহিমের নিকটে ভিড় করা ও অহেতুক বসে থাকা যাতে তাওয়াফকারীদের কষ্ট হয়, জায়েজ নাই। ০৫। মক্কা-মদিনায় থাকা কালে প্রয়োজন ব্যতিত বাসায় অবস্থান, গল্প, পরচর্চা করা, পরনিন্দা ও গীবত ইত্যাদি গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা বড়ই পুণ্যের কাজ। আরো কিছু কাজ যা বর্জন করা অতি পূণ্যের কাজ- ০১। যৌনাচার করা যাবে না। ০২) পাপাচার করা যাবে না। ০৩) ঝগড়া-ঝাটি করা যাবে না। যেমন আল্লাহ পাক ফরমান- ফালারফাছা ওয়ালা ফুসুকা ওয়ালা জিদালা ফিল হজ্জি।) অর্থ-হজের সময় সে যেন যৌন সম্ভোগ, দুষ্কর্ম ও ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত না হয়।বাকারাহ -১৯৭ আয়াত। ০৪) উত্তেজিত হওয়া যাবে না। ০৫) মিথ্যা ধোকাবাজি করা যাবে না। ০৬) মধ্যস্বত্ত-ভোগী গ্রæপ লিডার বা মুয়াল্লিম হতে সাবধান থাকতে হবে। ০৭) কম মূল্যের প্যাকেজে হজে গিয়ে বেশী কিছু আশা করা যাবে না। ০৮) আরাম আয়েশ করার মানুসিকতা পরিহার করা ০৯) অহেতুক কথা-বার্তা বর্জন করা যেমন- হজ প্যাকেজ মূল্যের তারতম্য হলে ঝগড়া করা। ১০) সমালোচনা করা, পরনিন্দা করা ও হিংসা করা ইত্যাদি। ১১) গ্রæপিং করা ও অন্যের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা। ১২) খাবার বা খাদ্য সর্ম্পকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করা ১৩) আমি অমুক বংশের পোলা আমি অমুক নেতার শালা এই বলে দম্ভ উক্তি করা। ১৪) মিনার তাবুতে জায়গা নিয়ে মারামারি করা, অন্য ভাইকে অগ্রাধিকার না দেয়া। ১৫) ঝগড়া হয় এমন কথা কাজ থেকে নিজেকে বিরত না রাখা। ১৬) জোরে বা আওয়াজ করে কথা বলা, কটু কথা বলা ইত্যাদি। সর্বোপরি যাহা অপছন্দনীয় ও নিন্দনীয় তাহা পরিহার করা।