০১। হজের নিয়্যত করা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা

ক) হজের নিয়্যত করা-সমস্ত আমল নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল । নিয়্যতে বরকত, নিয়্যতে জান্নাত জাহান্নাম। ভালো কাজের ইচ্ছা বা নিয়্যত যখনই করা হয় তখন থেকেই তার আমল নামায় ছাওয়াব বা ফলাফল লেখা শুরু হয়ে যায়। আমলের পাল্লা ভারী হতে থাকে। দুনিয়া- আখেরাতের সফলতা লাভে ধন্য হতে থাকেন। আর কোন বান্দা যখন হজের নিয়্যত করে তখন তার আবেগ অনুভুতি পরিমাপের কোন সীমা পরিসীমা থাকে না। এক অজানা অনুভুতি তার মাঝে কাজ করতে থাকে। যারা এই আবেগটাকে ধরে রেখে হজের পালাক্রম কাজগুলো সুচারু রুপে পরিচালনা করেন তারা হজের মাহাতœ, গুরুত্ব, বড়ত্ব, অন্তরের প্রশান্তি, দুনীয়ার কল্যাণ ও আখেরাতের মুক্তির নিশ্চয়তা লাভ করে জান্নাত লাভে ধন্য হবেন। সে জন্য খুব সাবধান বুঝে শুনে পদক্ষেপ নিবেন। এই ক্ষেত্রে টাকা পয়সাকে প্রাধান্য দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলি আমি মনে করি না, তবে টাকা ফ্যাক্ট। কম মূল্যের প্যাকেজ বা বেশী মূল্যের প্যাকেজ বা টাকা কম হউক আর বেশী হউক তা আপনার সামর্থের উপর নির্ভর করে এবং তা আপনার নিজের খরচের জন্যই লাগবে। হজের সক্ষমতা অর্জন-টাকা-পয়সা হলেই আপনি হজে যেতে পারবেন ব্যাপারটি এমন নয়, তবে মালিকে নেসাব হওয়ার সাথে সাথে হজের প্রস্তুতি গ্রহন করা জরুরী। তবে আল্লাহ কর্তৃক আপনি নির্বাচিত হতে হবে। হজে গমন মক্কা মদিনা যিয়ারাহ, আরাফাতে অবস্থান, মুযদালিফায় রাত্রিযাপন, মিনায় অবস্থান, জামারাতে কংকর নিক্ষেপ, কুরবানী করা ও ফরজ তাওয়াফ ইত্যাদি কার্যাদি আদায় করার তাওফিক আল্লাহর দরবারে একনিষ্ট দিলে-অন্তরে, মহান মালিক আল্লাহর কাছে ভিক্ষারীর মতো চাইতে হয়, তবেই মিলে পরম সৌভাগ্যের খানায়ে কাবা দর্শন। হজের নিয়্যত করেছেন এখন আপনি কি করবেন.....