১১। তাওয়াফের সময় সাত চক্করে পড়ার দু’আ আরবি ও বাংলা উচ্চারণসহ (সম্ভব হলে দু’আ করতে পারেন)

১। তাওয়াফের সময় (সাত চক্করে) পড়ার দ’ুআ- তাওয়াফ শুরু করার নিয়মঃ ০১। কাবা ঘর দেখার সাথে সাথে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করুন। দুআ কবুলের সময় দুআ করুন। ০২। আস্তে আস্তে দৃঢ় কদমে প্রশান্ত চিত্তে আবেগ ভরা মন নিয়ে কাবা ঘরের দিকে গাইড কে ফলো করে তাওয়াফ শুরুর জায়গা(হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত) পৌঁছবেন। ০৩। তাওয়াফ শুরু করুন-হাজরে আসওয়াদ থেকে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে। প্রতিবার তাওয়াফ শুরুর পূর্বে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে শুরু করবেন। এভাবে ৭টি চক্কর দিলে একটি তাওয়াফ হয়। তাওয়াফে অজু শর্ত ঃ ১। তাওয়াফে প্রথম চক্করে পড়ার দুআ- (সম্ভব হলে পড়–ন) প্রথম চক্কর আরবির বাংলা উচ্চারণ- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ সুবহান্নাহ্ ওয়াল হামদু লিল্লাহ্ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ্ আল্আলিইল্ আজীম। ওয়াছালাতু ওয়াস্সালু আলা রাসুলিল্লাহি। আল্লাহুম্মা ইমানান বিকা, অ তাসদিকান বিকিতাবিকা, অ অফা”আন বিআহদিকা,অ ইত্তেবা আন লিসুন্নাতি নাবিইকা অ হাবিবিকা মুহাম্মাদীন (সা.), আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা আল-আফওয়া অল আফিয়া অল মুয়াফাতীদদায়ীমা ফিদদিনে অদ্দুনিয়া অল আখেরাহ অয়ান্নাজাতা মিনান্নারি। (আল্লাহ তায়ালা পুতঃপবিত্র, সকল প্রশংসা তাঁরই প্রাপ্য, আর আল্লাহ তায়ালা ব্যতিত কোন মাবুদ নাই এবং আল্লাহ তায়ালাই সর্বশ্রেষ্ঠ। পাপ পরিহার ও এবাদতের শক্তি সর্বোচ্চ ও সর্বমহান আল্লাহ তায়ালারই দেয়া এবং পরিপূর্ণ রহমত ও শান্তি আল্লাহর রাসুল(সা.) উপর বর্ষিত হউক। হে আল্লাহ ! তোমার উপর ঈমান রেখে, তোমার বাণী সমুহের উপর দৃঢ় বিশ^াস স্থাপন করে এবং তা মেনে নিয়ে তোমার নবী ও প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মাদ(সা.) সুন্নাতকে অনুসরন করে (আমি এই তাওয়াফ করছি) হে আল্লাহ তায়ালা! আমি তোমার কাছে চাই সকল পাপের ক্ষমা,সকল বালা-মুছিবত থেকে রেহাই আর দ্বীন দুনিয়া ও আখেরাতে চাই চিরস্থায়ী শান্তি। এবং চাই বেহেস্ত লাভের সাফল্য ও দোযখের আগুন থেকে মুক্তি। এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়ুন- আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি এক(প্রথম) চক্কর শেষ করেছেন। ০২। এবার ২য় চক্কর শুরু করুন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে শুরু করবেন। দ্বিতীয় চক্করে পড়ার দুআ- (সম্ভব হলে পড়–ন) দি¦তীয় চক্কর (বাংলা উচ্চারণ)ঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ আল্লাহুম্মা ইন্না হাজাল বায়তে বায়তুকা, ওয়াল হারামু হারামুকাম, ওয়াল আমুনু আমনুকা, ওয়াল আবদু আবদুকা, অ-আনা আবদুকা, অ-ইবনু আবদিকা, অ-হাজাল মাকামু আইজুবিকা মিনান্নারি, ফাহাররিম লুহুমানা, অ-বাসারতানা,আলান্নারি, আল্লাহুম্মা হাববিব ইলাইনা আল-ইমান, অ-জায়ইনহু ফি ক্বূলুবিনা। অ-কাররিহ ইলাইনা আল-কুফরা অলফোসুকা অল্ ইসইয়ান। অজ্আল্না মিনাররাশিদিনা। আল্লাহুম্মা কিনি আযাবাকা ইয়াওমা তুবআছু ইবাদাকা, আল্লাহুম্মারজুকনি বিগয়রি হিসাব। অর্থ-হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই এই ঘর তোমার ঘর, এই হারাম তোমার হারাম, এখানকার শান্তি তোমারই প্রতিষ্ঠিত শান্তি। এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তোমারই বান্দা গোলাম দাস আর আমিও তোমার বান্দা বা গোলামের সন্তান। এই স্থান তোমার সাহায্য লাভ করে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি পাবার (পবিত্র) স্থান। (সুতরাং হে আমার প্রতিপালক) আমাদের শরীরের গোশত এবং চামড়াকে জাহান্নামের আগুনের উপর হারাম করে দাও। হে আল্লাহ! ঈমানকে আমাদের কাছে(অন্য সমস্ত কিছু থেকে অধিকতর) প্রিয় করে দাও আর এর সৌন্দর্যকে আমাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে বসিয়ে দাও এবং আমাদের অন্তরে কুফর, পাপাচার ও নাফরমানীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দাও, আর আমাদের সঠিক ও সৎপথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমায় মহা দিনের শাস্তি থেকে রক্ষা করো, যে দিন তুমি তোমার বান্দাদিগকে কবর থেকে জিন্দা করবে। (সে দিন) কোন হিসাব নিকাশ ছাড়াই, একান্ত অনুগ্রহ করে তুমি আমাকে বেহেশতে দাখিল করো। এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়–ন- আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি দ্বিতীয় চক্কর শেষ করেছেন। ০৩। এবার তৃতীয় চক্কর শুরু করুন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে । তৃতীয় চক্করে পড়ার দুআ-(সম্ভব হলে পড়–ন) তৃতীয় চক্কর বাংলা উচ্চারণ ঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ আল্লাহুম্মা ইন্নি আজুবিকা মিনাশক্কে অশ্শিরকে, অশশিকাকে, অননিফাকে, অছুইল আখলাকে, অছুইল মানজারে, অলমুনক্বলাবে ফিল্মালে, অলআহলে অলঅলাদে। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রেদাকা অলজান্নাতা। অআউজুবিকা মিন সাখাতিকা অন্নার। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল কবরে, অ-আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া অল-মামাতে। অর্থ- হে আল্লাহ! তোমার সত্তা ও শক্তি সর্ম্পকে আমার মনে কোনরূপ সন্দেহ (সৃষ্টি হওয়া) থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি; আর (তোমার সাথে কারো) শরীক মনে করা থেকে পানাহ চাচ্ছি। আরো পানাহ চাচ্ছি তোমার আদেশ নির্দেশের বিরোধিতা করা থেকে এবং কপটতা, কুস্বভাব ও কুদৃশ্য থেকে আর ধন, জন ও সন্তান-সন্ততির দুরবস্থা ও ধ¦ংস হওয়া থেকে। হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি আর বেহেশত কামনা করি। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি তোমার ক্রোধ ও দোজখের আগুন থেকে। হে আল্লাহ! তোমার কাছে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। আরো পানাহ চাই জীবন মৃত্যুর আপদ বিপদ থেকে। এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়–ন-আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি তৃতীয় চক্কর শেষ করেছেন। ০৪। এবার চতুর্থ চক্কর শুরু করুন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে। চতুর্থ চক্করে পড়ার দুআ-(সম্ভব হলে পড়–ন) চতুর্থ চক্কর বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ আল্লাহুম্মা ইজাআলহু হাজ্জান মাবরুরান, অ-সা’ইয়ান মাশকুরান, অ- যানবান মাগফুরান, অ- আমালান ছালেহান মাক্ববুলান অ- তিজারাতান লান তাবুরান। ইয়া আলেমা মা ফিচ্চুর্দু আখরিজনি ইয়া আল্লাহ মিনাজ্জুলমাতি ইলান্নুরে। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলকা মুজিবাতি রাহমাতিকা অ-আজাইমে রাহমাতিকা। অস্সালামাতা মিন কুল্লে ইছমিন, অলগনিমাতা মিন কুল্লে বিররিন। অলফাওজা বিল জান্নাতে, অন্নাজাতা মিনান্নারি। রাব্বি ক¦ান্নি’নি বিমারাজাক্বতানি অ বারিক্ লি ফিমা আতাইতানি, অখলুফ আলা কুল্লি গায়েবাতিন্ লি মিনকা বিখাইরিন। অর্থ-হে আল্লাহ! আমার এই হজ কবুল কর, আমার এই প্রচেষ্টা সফল কর, আমার গুনাহ মাফ কর, আমার নেক আমল কবুল কর, আর এমন ব্যবসা নসীব কর যাতে ক্ষতি নাই। হে অন্তর্যামী! আমাকে আধার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে যাও। হে আল্লাহ! তোমার কাছ থেকে ভিক্ষা চাই তোমার রহমত, পাপ মার্জনার উপায় সমূহ, সব গুনাহ থেকে বাঁচার পথ, সৎ কাজের স্বামর্থ, বেহেশত প্রাপ্তির সফলতা ও দোযখের আযাব থেকে নাজাত। হে প্রতিপালক! তোমার দেয়া রুজিতে আমার তৃপ্তি দাও, বরকত দাও, আমাকে তোমার দেয়া নেয়ামতে; আমার ক্রুটিগুলো তোমার কল্যাণ দিয়ে পূরণ করে দাও। হজ বা উমরা কবুল করুন------- এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়–ন-আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি চতুর্থ চক্কর শেষ করেছেন। ০৫। এবার পঞ্চম চক্কর শুরু করুন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে। পঞ্চম চক্করে পড়ার দু’আ- (সম্ভব হলে পড়–ন) পঞ্চম চক্কর ঃ বাংলা উচ্চারণ ঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ , আল্লাহুম্মা আজিল্লিনি তাহতা জিললে আরশিকা ইয়াওমা লা জিল্লা আরশিকা, অলা বাকিয়া ইল্লা অজহুক্ । অসকিনি মিন হাওদে নাবিয়ইয়াকা সাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদ(সা.) শারবাতান হানিআতান, লা নাজমাউ বা’দাহা আবাদান। আল্লাহুম¥া ইন্নি আসআলুকা মিন খায়রি মা-সাআলাকা মিনহু নাবিউকা সাইয়্যেদুনা মুহাম্মদ (সা.) । অ-আউজুবিকা মিন শাররি মাছ্তাআজাবিকা মিনহু নাবিইকা সাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদ(সা.)। আল্লাহুম¥া ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা অ নাঈমাহা, অ-মা ইউর্কারিবুনি ইলাইহা মিন ক্বাওলিন, আও আমালিন, আও ফেলিন। অ-আজুবিকা মিনান্নারি, অ-মা ইউর্কারিবুনি ইলাইহা মিন ক্বাওলিন, আও আমালিন, আও ফেলিন। অর্থ- হে আল্লাহ! তোমার আরশের ছায়ায় আমাকে আশ্রয় দাও, যে দিন তোমার আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না এবং তুমি ছাড়া আর কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না, পান করাও আমাকে তোমার নবী মুহাম্মদ (সা.) এর হাউজ থেকে সুশীতল সুস্বাদু পানীয়; যেন এরপর আর আমার তৃষ্ণার্ত না হই। হে আল্লাহ! তোমার কাছে চাই কল্যাণ যা চেয়েছিলেন তোমার নবী আমাদের সরদার মুহাম্মদ(সা.)। পানাহ চাই তোমার কাছে সব অকল্যাণ থেকে যা থেকে পানাহ চেয়েছিলেন তোমার নবী আমাদের সরদার মুহাম্মদ (সা.)। হে আল্লাহ! চাই তোমার কাছে বেহেশত এবং তার সব নেয়ামত আর সেই কথা, কাজ ও আমল যা বেহেশত লাভে সাহায্য করবে আর তোমার কাছে পানাহ চাই দোযখ থেকে এবং সে সব কথা, কাজ ও আমল থেকে যা দোযখে পৌঁছতে সাহায্য করবে। এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়–ন-আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি পঞ্চম চক্কর শেষ করেছেন। ০৬। এবার ৬ষ্ঠ চক্কর শুরু করুন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে। ৬ষ্ঠ চক্করে পড়ার দু’আ- (সম্ভব হলে পড়–ন) ষষ্ঠ চক্কর ঃ বাংলা উচ্চারণ ঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ, আল্লাহুম্মা ইন্না লাকা আলাইয়া হুকুকান কাছিরাতান ফি মা বায়নি অ বায়নাকা অ হুকুকান কাছিরাতান ফি মা বাইনি অ বাইনা খলকিকা। আল্লাহুম্মা মা কানা লাকা মিনহা ফাগফিরহুলি অ মা কানা লিখলক্বিকা ফাতাহাম্মালহু আন্নি । অ- আগ্নিনি বিহালালিকা আন হারামিকা অ বিত্বাআতিকা আন মাছিয়াতিকা, অ বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াকা ইয়া অছিয়াল মাগফিরাহ। আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আজীমুন্ অ অজহুকা কারীমুন অ আনতা ইয়া আল্লাহ হালীমুন কানিমুন আজীমুন। তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি। অর্থ- হে আল্লাহ! আমার উপর তোমার বহু হক আছে আমার ও তোমার মধ্যে এবং বহু হক আছে আমার ও তোমার সৃষ্টির মধ্যে। হে আল্লাহ! এর মধ্যে যা তোমার তা মাফ কর, আর যা তোমার সৃষ্টির তা মাফ করানোর ভার নাও। হালাল কামাই দিয়ে আমাকে হারাম থেকে বাঁচাও, ইবাদত-বন্দেগীর সামর্থ দিয়ে গুনাহ থেকে বাঁচাও। হে অসীম ক্ষমাশীল! হে আল্লাহ! তোমার ঘর মহিমাপূর্ণ তুমি করুনাময়, তুমি সহনশীল , মহানুভব, মহিমাময়, তুমি ক্ষমাশীল, তাই আমাকে ক্ষমা করো। এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়–ন-আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি পঞ্চম চক্কর শেষ করেছেন। ০৭। এবার ৭ম চক্কর (শেষ চক্কর)শুরু করুন- বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে। ৭ম চক্করে পড়ার দু’আ- (সম্ভব হলে পড়–ন) সপ্তম চক্কর ঃ বাংলা উচ্চারণ ঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল্ হামদ, আল্লাহুম¥া ইন্নি আসআলুকা ঈমান কামিলান, অ ইয়াকিনান ছাদিকান, অ রিজকান, অছিআন অ ক্বলবান খাশিআন, অ লিছানান জাকিরান, অ কাছবান হালালান তাইয়্যেবান, অ তাওবাতান নাছুহা, অ তাওবাতান ক্বাবলাল মাওতে, অ রাহাতান ইনদাল মাওতে, অল আফওয়া ইনদাল হিসাব, অল ফাওজা বিল জান্নাতে, অন-নাজাতা মিনান্নারে বি-রাহমাতিকা ইয়া আজিজু ইয়া গাফ্ফারু। আল্লাহুম্মা হাসিব্নি হিসাবান ইয়াছিরান। রাব্বি জিদনি ইলমা । অ আলহিকনি বিচ্ছালিহিন। অর্থ-হে আল্লাহ তোমার কাছে দৃঢ় ঈমান চাই, নিরেট-স্বচ্ছ ঈমান চাই, পর্যাপ্ত রিযিক চাই, বিনয়ী-ভীতিপূর্ণ (তোমার ভয় সদা অন্তরে জাগ্রত রাখুন) অন্তর চাই, তোমার স্বরনে সদা জিহŸা সচল রাখা চাই, হালাল বরকতপূর্ণ রিযিক চাই, সত্যিকার (তাওবা নাছুহা ) তোমার পানে ছুটে আসতে-তাওবা করতে চাই। এবং মরণের পূর্বে তাওবা করে মরতে চাই। আরামদায়ক মৃত্যু চাই, মৃত্যুর পর মুক্তি চাই, মাফ চাই। মৃত্যুর পর রহমত কামনা করি ও হিসাবে সময় রেহাই চাই। বেহেশত লাভে ধন্য হতে চাই, দোযখের আগুন থেকে মুক্তি চাই তোমারই করুনায় হে পরাক্রমশালী হে ক্ষমাশীল। আপনি আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দেন এবং আমাকে পূণ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করে নীন। হে আল্লাহ! কেয়ামতে পুলসিরাতে মিযানে আমার হিসাবটাকে সহজ করে দিয়েন। এই দুআটি রোকনে ইয়ামানী পৌছার পূর্বেই শেষ করুন। রোকনে ইয়ামানি থেকে এই দুআ পড়–ন-আরবির বাংলা উচ্চারণ- রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাহ,ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাহ, ওয়া কিনা’ আযাবান্না’র। ওয়া আদখিলনাল জান্নাতা মাআল আবরার। এখন আপনি ৭ম চক্কর শেষ করেছেন। আপনার তাওয়াফ শেষ হলো আল-হামদু লিল্লাহ। তাওয়াফ শেষে ০১নং কাজ- ওয়াজিবুত তাওয়াফ দুই রাকাত নামাজ আদায় করুন। সম্ভব হলে প্রথম রাকাতে ক) সুরায়ে কাফিরুন খ) দ্বিতীয় রাকাতে সুরায়ে ইখলাছ পড়–ন। ২ নং কাজ- নামাজ শেষে নিজের মতো করে দু’আ করুন দু’আ কবুলের সময়। ৩নং কাজ- নামাজ শেষে যমযম পানি পান করা সুন্নাত, দু’আ কবুলের সময় দু’আ করুন। পানি পানের সময়ের দু’আ-